Friday, November 13, 2015

শাবর মন্ত্র ও সাধনা

শিব পার্বতী যখন অর্জুনের সাথে কিরাত বেশে যুদ্ধ করেছিলেন সেই সময় কিরাত কিরাতী নিজেদের মধ্যে প্রশ্ন উত্তর করে তারা এই শাস্ত্র আলোচনা করে ছিলেন তারা । তাঁদের প্রদত্ত মন্ত্র কে তান্ত্রিক শাবর বলে ।
কলি যুগের সিদ্ধ সাধক গোরা খ নাথ লোক ভাষায় জনহিতে রচনা করেন । সেটাও শাবর মন্ত্র নামে পরিচিত । শাবর মন্ত্র সাধনা মানুষ তার অভীষ্ট সিদ্ধ করতে পারে ।মণঃকামনা পূরণ করতে পারে । অঘোর যোগী রা জনহিতে ব্যবহার করার এই মন্ত্র গুলি কে স্বভাষায় রচনা করে উচিৎ কাজ করেছেন । মন্ত্র গুলি কে গ্রামীণ রূপ দেবার ক্ষেত্রে গুরু গোড়খ নাথ এর অসমানয় অবদান ।
তন্ত্র শাস্ত্র তরঙ্গ এর বিজ্ঞান । অন্তিম সত্য ব্যক্ত করার বিজ্ঞান । সরল ও স্বভাষায় হবার কারণে সহজে ভাব এনে দিতে পারে । এতে আরও কিছু রসায়ন প্রয়োগ করা হয় । এই তরঙ্গ কে শকতি ভুত করে একে প্রয়োগ করা হয় । এটায় শাবর তন্ত্র ।
তবে শাবর সাধক দের অটল বিশ্বাস , কোণও সং কা থাকলে চলবে না । রসায়ন প্রয়োগে সাবধানী হতে হবে । চিন্তা মুক্ত মনে সাধনা করতে হই । মনে রাখতে হবে কোণও কাজ সহজে হই না । অঘোরী রা তাদের আরাধ্য দেবতার ভাব মূরতি নির্মাণ করে । সূক্ষ্ম তরঙ্গ তাদের মাত্রা অনুসারে কেন্দ্রীভূত করে । অতএব একে অলৌকিক বলা চলেনা । এটাও ঈশ্বর প্রদত্ত । চাল, দুধ ,ঘী, হল কর্পূর , দূর্বা ,ফূল ফল এর রসায়ন প্রয়োগ হয় ।
এই মন্ত্র বিজ্ঞানের চমৎকারী হয়ত বুদ্ধিজীবী অবিশ্বাস করে । তবে চিকিৎসা বিজ্ঞান যখন ধ্বনি কে ব্যবহার করছে তখন মন্ত্র শকতি কে অস্বীকার করি কী  । শব্দ ই প্রকিতি উপর আধিপত্য করতে পারে ।
মন্ত্র এর প্রভাব মস্তিকে পরে । ভাব ও মন্ত্রের সম্পর্ক .আত্মিক । যেমন ভবনা তেমন কাজ । শরীর ও তাই  চাইবে করতে ।
পবিত্র ও প্রবল ভাবনা সফলতা এনে দেয় , এবং ফলি ভুত হয় //